আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও চীনের সম্পর্কে যে অচলাবস্থা চলছে তাতে পরিস্থিতি ‘যে কোনো মোাড় নিতে পারে’ বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এমনকি স্থানীয় বা আঞ্চলিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
১৫ জুন লাদাখের গ্যালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চীনের সেনারা। এক পক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। এক পর্যায়ে চীনা সেনারা কাঁটাতারযুক্ত রড দিয়ে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। পরিস্থিতির উন্নয়নে এরপর দুই দেশের কূটনীতিক ও সামরিক পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এরই মধ্যে সোমবার চীনের সেনারা লাদাখের ব্যাংহং হুনানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে ভারতের দখলে থাকা একটি পাহাড়ের চূড়া দখলের চেষ্টা করে বলে দাবি করে দিল্লি। এসময় ফাঁকা গুলি চালায় চীনের বাহিনী। চীন অবশ্য দাবি করেছে, ভারতীয় সেনারা একতরফাভাবে এলএসি অতিক্রম করে ও গুলি ছোড়ে।
ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংলাপ এবং কূটনীতিক ও সামরিক পর্যায়ে সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কমান্ডার পর্যায়ে আরেক দফা বৈঠকের জন্য বেইজিং ও দিল্লি রাজী হয়েছে। তবে এর তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
গত কয়েক দিনে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারতীয় বাহিনী। রাজাংলা হিল এবং গুরুং টপের মধ্যবর্তী ওই এলাকা সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীন ওই এলাকায় তার সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। ওই এলাকায় দুই দেশের সেনাদে
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, চীনা বাহিনী যদি সামরিকভাবে বলপ্রয়োগের চেষ্টা করে তাহলে ভারতীয় স্থানীয় সামরিক কমান্ডার পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।