প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ভাসানী রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বামধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাকে অনেকেই সে সময় ‘লাল মওলানা’ নামেও ডাকতেন। ভাসানী ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। সে কারণে ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সর্বপ্রথম পাকিস্তানের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
মওলানা ভাসানী ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে এক বিশাল জনসভায় ‘স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান’ দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি তিনি সমর্থন দেন।
১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বিশাল জনসভায় স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ভাসানী। এ ছাড়া পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।
ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। এই আওয়ামী মুসলিম লীগ পরবর্তী সময়ে হয় আওয়ামী লীগ।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।