অনলাইন ডেস্ক: কয়েক মাসের ধরে আলোচনা শেষে অবশেষে মহামারির জন্য প্রায় ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজে সম্মত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। এই অর্থের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়তা ও বেকারভাতা প্রকল্পও রয়েছে। খবর বিবিসির।
আগামী নয় মাসে সরকারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই অর্থের সঙ্গে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের বিলও যোগ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের জন্য পরিচালিত অনেকগুলো অর্থনৈতিক ত্রাণ প্রকল্প চলতি মাসে শেষ হওয়ার পথে। এর ফলে ১ কোটি ২০ লাখের মতো মার্কিন নাগরিক বেকাভাতা হারানোর ঝুঁকিতে ছিলেন। সেজন্যই নতুন এই অর্থায়নের ব্যবস্থা।
আজ সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেট এই প্যাকেজে ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারা এটি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
নতুন এই প্যাকেজে প্রায় সকল আমেরিকানকে সপ্তাহ প্রতি ছয়শো ডলার করে প্রণোদনা ভাতা ও তিনশো ডলার করে বেকারভাতা দেয়া হবে। এছাড়া ব্যবসার জন্য সহায়তা, ভ্যাকসিন বিতরণ, স্কুল ও যেসব ভাড়াটিয়ার ভাড়া বাতিল হতে যাচ্ছে তাদের জন্য ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রণোদনা এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল রোববার এই প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি অনেক দিন ধরে যা শোনার অপেক্ষায় আছে সেটি আমরা অবশেষে জানাতে পারছি। সামনে আরও সহায়তা আসছে।’
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন জনগণের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে প্যাকেজের অর্থ দ্রুত হস্তান্তর করা দরকার।’
এই বিলে স্থানীয় সরকারের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি যেটা অনেক ডেমোক্র্যাটদের দাবি ছিল। তবে চাক শুমার বলেন, ‘স্কুল, করোনা পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের জন্য অর্থ বরাদ্দের ফলে এই প্যাকেজের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।’
এর আগে মহামারির শুরুর দিকে গত মার্চে মার্কিন সরকার ২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে ১২শ ডলারের প্রণোদনা চেক, ব্যবসায় সহায়তার জন্য অর্থ ও ছয়শো ডলার বেকারভাতা অন্তর্ভুক্ত ছিল।