নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন আয়-রোজগারের কথা ভেবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে আজ বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারি এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পুনরায় সব সেবা চালু করছে দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’।
লকডাউন শিথিল হওয়ায় পাঠাওয়ের সেবাগ্রহীতারা অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংসহ (মোটরসাইকেল ও কার) প্ল্যাটফর্মটির ‘ফুড’, ‘পার্সেল’, ‘কুরিয়ার’, ‘হেলথ’ও অন্যান্য নিয়মিত সেবা বরাবরের মতোই পাবেন। এক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মটির সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতা উভয়কে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারিকালে পাঠাও প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনাকালে পাঠাও তার সকল সেবাদাতার স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছে ও প্রদান করেছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম (মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস ইত্যাদি)। এছাড়া পাঠাও চালকরা যাতে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে তাই নতুন ফিচারও চালু করেছে পাঠাও।
মহামারির এই সংকটে পাঠাওয়ের বিভিন্ন উদ্যোগসমূহের মধ্যে রয়েছে এটুআই এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্ল্যাটফর্মের ১০ হাজারের বেশি সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাকে কোভিড-১৯ টিকার জন্য নিবন্ধন করানো, মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থার সহযোগিতায় পাঠাও হেলথ এবং পাঠাও ফার্মা চালু করা, ট্রান্সজেন্ডারদের পাঠাও ফুড-এ সেবাদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া ও সম্প্রতি আকিজ বেকার্স লিমিটেডের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্তদের জন্য ঢাকায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর মতো পদক্ষেপ।
পুনরায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিসসহ প্ল্যাটফর্মটির সব সেবা চালু করা প্রসঙ্গে পাঠাও প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কঠোর লকডাউন শিথিলের সরকারি এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। মহামারির শুরু থেকেই পাঠাও প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না। অফিস ও কলকারখানাসহ নিজ নিজ গন্তব্যে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।