ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুকি চিনের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া দলের মোট সদস্য ছিল ৫৩ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন গ্রেফতার হয়েছে, বাকীরা এখরো পলাতক।
মঙ্গলবাররাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা বম সম্প্রদায়ের কাছে প্রশিক্ষণও নিতো এবং ঢাকা থেকে টাকাও পাঠাতো। তাদের সদস্য ৫৩ জন ছিল। তার মধ্যে ৪৯ জনই ধরা পড়েছে। এরা আসলে একটু বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। তারা এখন নতুন করে কর্মী সংগ্রহ করছে। তারা এই নতুন কর্মীরা বিভিন্ন ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে চাকরি করে এবং টাকাও পাঠায়। আমরা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তাদের সঙ্গে আরো কেউ আছে কিনা জানার চেষ্টা করবো। এছাড়া তারা নতুন করে কাকে কাকে নিয়োগ করেছে সেটাও জানাবো।
তিনি বলেন, আমরা যাদের ধরেছি তাদের মধ্যে দুজন (মশিউর রহমান ও আমির হোসাইন) এখন হিন্দাল আল শারক্বীয়াকে লিড করছে। কর্মী সংগ্রহ তারাই করছিল। হাবিবুর রহমানকে তারা নতুনভাবে নিয়োগও দিয়েছে। আপনারা যেসব প্রশ্ন করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটির উত্তর আমরা তাদের কাছে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে নেব। তারা নতুন করে কাকে কাকে রিক্রুট করেছে এবং কে লিড করছে তাও আমরা জিজ্ঞাসা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হজি), আনসার আল ইসলাম ও জামাযাতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পলাতক বেশ কিছু সদস্য মিলেমিশে একটি নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ গঠন করে। কুকি চিনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তারা তাদের সদস্যদের অস্ত্রসহ যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গি সংগঠন কুকি চিনের সদস্যদের কাছে পাহাড়ি বৈরী পরিবেশে কমান্ডো হিসেবে টিকে থাকা, পিটি-প্যারেড শিখা, আন আর্মড কমবাট, অ্যাসল্ট রাইফেল চালানো, বোমা সামগ্রী তৈরি এবং ব্যবহারসহ সিকিউবি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।