দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত লাশ দাফন করে আলামত নষ্টের অভিযোগে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামপুলিশ হামিদুর রহমান চারজনকে আসামি করে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ ওই এলাকার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, ১২ বছর আগে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের চকশুলবান গ্রামের জেসমিন আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকত। গত সোমবার দুপুরে নিজবাড়িতে উঠানে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কিটনাশক পান করেন জেসমিন আক্তার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দিন সন্ধায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এর একদিন পর বুধবরা ভোরো জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার দুপুরে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জেসমিন আক্তারের লাশ দ্রুত দাফন করানো হয়।
জানতে চাইলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।