আরও এক দফা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্স। কেননা কোম্পানিটি সাম্প্রতিক সময়ে মন্থর প্রবৃদ্ধি এবং বর্ধিত প্রতিযোগিতার সাথে লড়াই করছে। স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স বলেছে, মে মাসে ১৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পর কোম্পানিটি আরও ৩০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করছে যা তাদের কর্মশক্তির ৪ শতাংশ। যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী। খবর বিবিসি।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স জানিয়েছিল যে তাদের যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম তাদের গ্রাহক সংখ্যা কমছে। এরই পরিপেক্ষিতে এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে কোম্পানিটি।
পুরো বিশ্বে নেটফ্লিক্সের কর্মীসংখ্যা ছিল ১১ হাজার। তার মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ৪ শতাংশ। আপাতত তালিকায় ছিলেন মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরাই। নেটফ্লিক্স থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে ‘সংস্থার উপার্জন বৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যয়েও রাশ টানতে হচ্ছে। সে কারণেই এই পথে হাঁটতে হলো কর্তৃপক্ষকে। কারও কর্মদক্ষতার প্রশ্নে নয়, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’
নেটফ্লিক্সের অ্যানিমেশন বিভাগেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইউনিটের ৭০ ধরনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। চ্যানেলটিতে সামাজিক মাধ্যম ও প্রকাশনা চ্যানেলের কন্ট্রাক্টরদের ভূমিকাও গৌণ করে আনা হচ্ছে।
তবে কোন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, তা প্রকাশ করেনি নেটফ্লিক্স। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিক্রুটিং, কমিউনিকেশন ও কনটেন্ট বিভাগ থেকে এই কর্মী ছাঁটাই করছে নেটফ্লিক্স।
ওটিটিতে এখন প্রতিযোগিতা করছে অনেক প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতা যত জমে উঠেছে গ্রাহক সংখ্যায় ভাটার টান দেখছে নেটফ্লিক্স। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মাসিক গ্রাহকমূল্য আগের তুলনায় বেশ খানিকটা কমিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। লাভ হয়নি তাতেও। জানুয়ারি থেকে প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি পড়ে গিয়েছে নেটফ্লিক্সের শেয়ারের দর।
পরিসংখ্যান বলছে, ২২ কোটি ২০ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছেন এই প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু অন্যের পাসওয়ার্ড দিয়ে নেটফ্লিক্স দেখা হয় আরও অন্তত ১১ কোটি বাড়িতে। তাতেই এবার লাগাম পরানোর ভাবনা রয়েছে সংস্থার।
এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজনি প্লাস, এইচবিও, আমাজন প্রাইম ভিডিওসহ আরও কয়েকটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বাজারে আসায় চরম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে নেটফ্লিক্সকে। এতে গত তিন মাসে সংস্থাটির গ্রাহকসংখ্যাও নিম্নমুখী দেখা যাচ্ছে।