মালয়েশিয়ায় বসবাসরত এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেপংয়ের কেআইপি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত প্রবাসীর নাম নূরে আলম মানিক (৪৮)। তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ শহরের আদর্শ পাড়া কচাতলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
নিহত নূরে আলম মানিকের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার (০৩ জুলাই) সকালে মানিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার এক নাগরিক দোকানের মধ্যে বড় একটি ধারালো ছুরি নিয়ে প্রবেশ করে এবং তাকে কুপিয়ে জখম করে। মানিক আঘাত পেয়ে লোকটির পিছু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর দুজন ধ্বস্তাধস্তি করে আবার দোকানের ভেতরে ঢোকেন। পরে দুইজনই রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে ঘটনাস্থলে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক মারা গেলেও পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের বাইরে নূর আলমকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং ঘটনাস্থল থেকে নূরে আলমকে উদ্ধার করে সুঙ্গাইবুলু হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই মারা যান নূরে আলম। এ ঘটনায় সুঙ্গাইবুলু থানায় মামলা হয়েছে।
নূরে আলমের আত্মীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মানিক গত ১২ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছেন। সম্প্রতি তিনি পাসার মিনি বিসমিল্লাহ মার্ট নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার সকালেও তিনি দোকান খোলেন। এরপর সেখানে হামলার শিকার হন। তবে, কী কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা চালিয়ে মানিককে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে নূরে আলমের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।