রাজশাহীতে খুন হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. সনির একটি তরবারি হাতে টিকটক ভিডিও সবার নজরে এসেছে। ভিডিওটি সে খুন হওয়ার ২০ দিন আগে প্রকাশ করেছিল, যা ফেসবুকেও ছড়িয়েছে।
ভিডিও থেকে তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ‘কিশোর গ্যাং’–এর দ্বন্দ্ব বিষয়টি সামনে এসেছে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের পর রাজশাহী নগরে উঠতি বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা শুরু করেছে।
টিকটকের জন্য ধারণ করা ভিডিওটি গত ১৪ জুন সনি তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, তরবারি নিয়ে সে হেঁটে যাচ্ছে। তার পেছনে সমবয়সী আরেক কিশোর। পুলিশ বলছে, এ ভিডিওকে সনির প্রতিপক্ষ মঈন গ্রুপ নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে।
গত রোববার একদল উঠতি বয়সী তরুণ–কিশোর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে দুই কিশোরকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী সনির মৃত্যু হয়। পরদিন সোমবার স্বজনেরা তার লাশ নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
গত ১৪ জুন সনির তরবারি হাতে ওই টিকটক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, মঈন গ্রুপ নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে। এর ২০ দিনের মাথায় সনি খুন হয়।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের আইনশৃঙ্খলা সভায় উঠতি বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হয়েছে। সভায় উঠতি বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে গৃহীত কিছু পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা হয়। বখাটে কিশোরদের ডেটাবেজ করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা সভায় বলা হয়, ঈদের মধ্যে বাইরে থেকে অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িত কিশোরেরা রাজশাহীতে আসবে। তারা মাদক সেবন করবে, আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করবে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তালিকাভুক্ত কিশোরদের নজরদারিতে রাখতে হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, তিনি রাজশাহীতে যোগ দেওয়ার পর থেকে উঠতি বয়সী ছেলেদের একটা ডেটাবেজ তৈরি করেছেন। এতে ৫০০ কিশোরের নাম রয়েছে। প্রতিদিনই তাদের বিভিন্ন থানায় নিয়ে এসে ‘মোটিভেশন’ দেওয়া হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের বোয়ালিয়া থানা–পুলিশ ৫৪ জন উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণকে ধরে নিয়ে ‘মোটিভেশন’ দেন ওসি মাজহারুল ইসলাম।