পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি বাংলাদেশের আম পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠির মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির পাল্টা উত্তরে এ আমন্ত্রণ জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
এক সপ্তাহ আগে এই চিঠি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষ। তবে কোনও কোনও গণমাধ্যম ‘মমতাকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ হাসিনার’ এই শিরোনাম দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) খবর প্রকাশ করে এবং সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আম পাঠানোর জন্য সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধন্যবাদ দিয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই ধন্যবাদ চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জুলাই পাল্টা মমতাকে একটা চিঠি পাঠান। আর সেই চিঠির একঅংশে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আপনি ইতোমধ্যে জেনেছেন, নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথে আত্মনির্ভরশীল সোনার বাংলা বিনির্মাণের বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। এই সেতু বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ রইলো।
উপ-দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চিঠিটি অনেক আগের। তবে আজকে কিছু গণমাধ্যম চিঠির বিষয়ে খবর প্রকাশ করে। তাছাড়া ওই চিঠিটি ধন্যবাদ চিঠির পাল্টা সৌজন্যমূলক চিঠি হিসাবেও মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সরকারি পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণপত্র নয় ওই চিঠি। ওই চিঠিটি ধন্যবাদের পাল্টা সৌজন্যমূলক চিঠি।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশি আম উপহার হিসাবে পাঠানো হয়। শুধু মমতা নন আমের একটা বড় চালান গিয়েছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিপ্লব দেবের কাছেও।