রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইউক্রেনের মাটিতে ফুটবল মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। শুরু হচ্ছে দেশটির টপ ডিভিশন ফুটবল লিগ ইউক্রেনিয়ান প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ।
মঙ্গলবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ২৩ আগস্ট শুরু হচ্ছে ইউক্রেনের প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল (ইউপিএল)।
১৬টি দল নিয়ে ১৩টি ভেন্যুতে চলবে এবারের লিগ। এই ভেন্যুগুলোর প্রতিটিই দেশের পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে যুদ্ধ হচ্ছে না।
যুদ্ধের মধ্যে খেলা চললেও নিরাপদ নেই দেশটির ক্রীড়া স্থাপনা। রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়েছে স্টেডিয়াম, ক্লাব ভবন আর অনুশীলন মাঠও।
এবারের লিগে মারিউপোল এফসি অংশ নিতে পারছে না কারণ মারিউপোল অঞ্চলটিতে যুদ্ধের তীব্রতা অনেক বেশি। অঞ্চলটি এই মুহূর্তে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর চিরহিনির এই মুহূর্তে মুক্ত থাকলেও রাশিয়ান বিমান হামলায় ক্লাবটির অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
খেলার সময় বিমান আক্রমণ থেকে খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে বসানো হয়েছে এয়ার রেইড সাইরেন। এর সঙ্গে রাখা হয়েছে বোম্ব শেল্টারও।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধের কারণে প্রিমিয়ার লিগের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এপ্রিলে ২০২১-২২ মৌসুমের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। খেলা বন্ধের আগে শীর্ষে থাকা শাখতার দোনেস্ককেই লিগের শীর্ষ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে উয়েফা।
শাখতার ছাড়াও আরও চারটি দল এবার খেলবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ পর্যায়ে খেলছে ডায়নামো কিয়েভ।
ইউরোপা লিগের প্লে-অফে খেলছে দিনিফ্রো এবং লুহানস্ক ও পোলটাভা খেলবে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে।
দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য এদের সবাইকে হোম ম্যাচে খেলতে হবে ইউক্রেনের বাইরের কোনো মাঠে।