লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন গত ৭ জুলাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পর শুরু হয় দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
এরইমধ্যে ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে ভোটাভুটি শেষ। ধারণা করা হচ্ছে, টোরি সদস্যদের ভোটে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসই হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আসতে পারে চূড়ান্ত ঘোষণা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ের শুরুতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক এগিয়ে থাকলেও শেষ লড়াইয়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস। বরিস জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার আগেই সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে।
বরিসের পদত্যাগের ঘোষণায় ব্রিটেনের সাধারণ ভোটারদের বদলে নিয়ম অনুযায়ী নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য।
একের পর এক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতা। বরিসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেন একের পর এক মন্ত্রী। কার্যত চাপের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হন বরিস।
এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান এবং দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে নেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। একাধিক পদপ্রত্যাশীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ ধাপে আসেন দুজন- বরিসের মন্ত্রিসভার সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
একাধিক প্রকাশ্য জনসভায় এবং টেলিভিশন বিতর্কে পরস্পরের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হতে দেখা গেছে দুজনকে। নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাক এগিয়ে থাকলেও, ক্রমশ ব্যবধান কমাতে থাকেন লিজ ট্রাস। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রাসের পাল্লা ভারি ছিল বলে জানা গেছে।