পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মানুষকে সিসা দূষণ থেকে বাঁচাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এজন্য অবৈধ ব্যাটারি উৎপাদন এবং পুনর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে শুধু আইন প্রয়োগই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারবে না, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, সিসা মানবদেহে একটি নীরব ঘাতক এবং প্রায় সমস্ত শরীরের সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সিসার স্নায়বিক বিষাক্ততা ছোট বাচ্চাদের বিকাশমান দেহ এবং মস্তিষ্কের স্থায়ী এবং মারাত্মক ক্ষতি করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত ‘লেড পয়জনিং ইন বাংলাদেশ: রিসার্চ এভিডেন্স ফর আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারি উদ্যোগে যানবাহনে সিসামুক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের প্রায় ৮৫ শতাংশ সিসাই সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। পেইন্ট ও মশলায় সিসাও আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়।
তিনি বলেন, সরকার প্রথমে ২০০৬ সালে এবং আবার ২০২১ সালে এসআরও জারি করে। এসআরও তে সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ, পরিবেশগতভাবে নিরাপদ রিসাইক্লিং, ব্যাটারি ব্রেকার, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, আমদানিকারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সমাধান এবং রিপোর্টিং সিস্টেমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. শামস এল আরিফীন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।