স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। শুধু শহর কেন্দ্রীক উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। প্রতিটি গ্রামের নাগরিককে শহরের সুবিধা দেওয়া যায়, সেলক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নগুলো শহর থেকে গ্রামবাংলার মানুষের মাঝে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেটারই সুফল আজকে আমরা পাচ্ছি। সারাদেশেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কারণে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, স্প্রে মেশিন ও বাই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন রাজার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বকুল, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লাজু প্রমুখ।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনের চাওয়া-পাওয়াকে তুচ্ছ করে শুধুমাত্র বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলন করেছেন। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি পিছপা হননি। তার কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা।
তিনি বলেন, আমরা পেয়েছি ১৯৭২-এর সংবিধান। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এই সংবিধানের ভেতরে রয়েছে। সেই সংবিধানের আলোকেই আমরা দেশ পরিচালনা করবো। কারণ এখানে বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেছেন। এদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা বলেছেন। তেলে মাথায় তেল ঢালার কোনো লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর ছিল না। বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কথাই তিনি সারাজীবন বলেছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই লক্ষ্য নিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ৪ নভেম্বরকে জাতীয় সংবিধান দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অনেক বড় মাইলফলক বলেও জানান তিনি।