আজ ১৮ নভেম্বর, শুক্রবার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালনে আনন্দ শোভাযাত্রা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) উপাচার্য দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় চবির শহীদ মিনার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেক কাটা ও পরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ এবং বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বৃহত্তম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। দিনটি উদযাপন করতে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
৫৬ বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ড. শিরিন আক্তার বলেন, ‘চবির সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আধুনিক উন্নত জ্ঞান সৃজনের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বে পরিচিত করতে আমরা কাজ করছি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেলসহ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।