নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: মাতৃভাষা সংরক্ষণ-বিকাশে বিশেষ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পদক দেবে বাংলাদেশ। এজন্য ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক নীতিমালা, ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ নামে নতুন পদক চালু করা হচ্ছে। প্রতি দুই বছরে এই পদক দেয়া হবে। জাতীয় ক্ষেত্রে দু’টি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দু’টি পদক দেয়া হবে। পদকের মূল্যমান ধরা হয়েছে জাতীয় ক্ষেত্রে চার লাখ টাকা, আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ডলার।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার, প্রসারের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি থাকবে। মনোনয়ন কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী।’
একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে এই পুরস্কার দেয়া হবে বলেও জানান শফিউল আলম।
বিকেএসপি আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
‘বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। খসড়া বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) আইন অনুযায়ী বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে, বছরে দুইবার সভা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্বে যিনি থাকবেন তিনি হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। ২০ সদস্যের পরিষদ হবে। সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর।’
এছাড়া বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপিত সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তির খসড়া অনুমোদন সংক্রান্ত ইতোপূর্বে গৃহীত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম বলেন, ‘২০১৪ সালে একটি সিদ্ধান্ত হয় স্পেন সরকারের সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে চুক্তি করতে চায়। পরে স্পেন জানায় তারা শুধু সংস্কৃতি বিষয়ে চুক্তি করতে চান, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে চুক্তি করবেন না। সংস্কৃতি বিষয়ের চুক্তিটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’