ক্রোয়েশিয়া দল হিসেবে দারুণ এবং এই ম্যাচটা বেশ কঠিন হবে। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরছেন আনহেল ডি মারিয়া। শঙ্কা নেই রদ্রিগো ডি পলকে নিয়েও। তাই সেরা একাদশ নিয়ে সেমিফাইনাল বাধা পার হতে বদ্ধপরিকর আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, ক্রোয়াটরাও চায় জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে। লুসাইলে হাইভোল্টেজ সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায়।
প্রতিপক্ষ যাচাই করে কৌশল সেট করা আর নিজ ফুটবলারদের মেধা যাচাই করে একাদশ নির্বাচন। এই দুই বিষয়ে জুড়ি মেলা ভার লিওনেল স্ক্যালোনির। ঠান্ডা মাথার লড়াইয়ে এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দিয়েছেন এই মাস্টার মাইন্ড। তার আরও একটা মাস্টার স্ট্রোকের অপেক্ষা সেমিফাইনালে।
নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে। মেসি-এমি মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মেলেছে গুজবের ডালপালা। আসল খবর হলো তারা দুজনই খেলছেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। অস্বস্তি কেবল ডাবল হলুদ কার্ডের গ্যাড়াকলে পড়ে মর্কোস অ্যাকুনা আর মন্তিয়েলকে না পাওয়া।
ক্রোয়াটদের বিপক্ষে স্কোয়াড কেমন সাজাবেন স্ক্যালোনি তা কেবল অনুমান করা যায়। কারণ সব কিছুই তিনি সেট করেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। পুরো ফিট হয়ে ফিরছেন ডি মারিয়া, মিডে প্রথম একাদশেই থাকবেন রদ্রিগো ডি পল। লেফটব্যাকে অ্যাকুনার ঘাটতি পূরণ করবেন তাগলিয়াফিকো। এই ম্যাচেও প্রথম একাদশে শুরু করবেন এনজো, ম্যাক আ্যালিস্টার।
লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, ‘গত বিশ্বকাপে কী হয়েছিল আমার মনে নেই। এটা একটা আলাদা দল, আলাদা কন্ডিশন। তবে ক্রোয়াটরা শক্তিশালী এখানে কোনো দ্বিমত নেই। আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচের আশা করছি। ছেলেরা নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত করেছে। মারিয়া এবং পল ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। সেমিতে তারা খেলবে, তবে সেটা কতক্ষণ আমি এখনই বলতে পারছি না।’
হট ফেবারিটের তালিকায় না থাকলেও ক্রোয়েশিয়া জায়গা করেছে বিশ্বকাপ শেষ চারে। মদ্রিচ, প্যারিসিচ কোভাসিচদের নিয়ে জলাটকো দালিচের দলটা দারুণ। ব্রাজিল ম্যাচে পোস্টের নিচে নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন লিভাকোভিচ। একই সঙ্গে জমাট রক্ষণ আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগায় ক্রোয়াটদের।
জলাটকো দালিচ বলেন, ‘ব্রাজিল ম্যাচে যে কৌশলে খেলেছি, এখানে খুব বেশি পরিবর্তন করবো না। আর আর্জেন্টিনাকে আগেও হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারি। আমরা শুধু মেসি নয়, পুরো দলকে আটকানোর জন্য কৌশল সাজাচ্ছি।’
মুখোমুখি পরিসংখ্যানে দুদল সমানে সমান। তবে ক্রোয়েশিয়ার কাছে গেল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হারের ক্ষতটা এখনো দগদগে। সময় এসেছে সেখানে প্রোলেপ লাগানোর।