পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হাব এলাকায় তেল শোধনাগার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি দেশটির গণমাধ্যম পাকিস্তান টুডে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
নাম উল্লেখ না করে একাধিক সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল শোধনাগার প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নীতিগত প্রণোদনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে তৃতীয় পক্ষের বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছে সৌদি আরব।
এ ছাড়া সৌদি বলছে- তেল শোধনাগার স্থাপন করা হলে পাকিস্তান ওই শোধনাগারকে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে দেবে, এমন কথা থাকলেও এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঐকমত্যে হয়নি।
২০১৯ সালে পাকিস্তানে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে তেল শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করে সৌদি আরব। সে সময় পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ গণমাধ্যমকে এই পরিকল্পনার কথা জানালেও বিষয়টি নিয়ে আর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের দারুণ সম্পর্ক ছিল। যাকে ঐতিহাসিক হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছিল। কারণ তখন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স ইসলামাবাদ সফর করেছিলেন।
কিন্তু রিয়াদ-ইসলামাবাদ সম্পর্ক আর সামনে এগোয়নি। কারণ, কাশ্মীর ইস্যুতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে সৌদি। যার ফলে প্রকাশ্যে দেশটির সমালোচনা করে পাকিস্তান। মূলত এরপরই সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে।
ধারণা করা হয়, এমন পরিস্থিতিতে তেল শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পটি স্থগিত করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এরপর পাকিস্তানের নেতৃত্ব বদল হওয়ায় আবারও দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে সৌদি। যার ফলে প্রায় চার বছর পর পুরোনো প্রকল্প শুরু করার জন্য এ প্রস্তাব উত্থাপন করল দেশটি।