গণপরিবহনের যন্ত্রণা ছাপিয়ে রূপকথার মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদে যাতায়াত করার সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ঢাকাবাসী। মেট্রোরেলের কারণেই ঢাকার বেশকিছু এলাকা বদলে যাচ্ছে। গতি এসেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। জমে উঠেছে প্লট ও ফ্ল্যাট বাণিজ্য।
বছর খানেক আগেও, উত্তরার দিয়াবাড়ির রাজউকের প্লট ছিল ধূ-ধূ মরুভূমির মতো। এখন মেট্রোরেলের স্টেশনকে কেন্দ্র করে বাড়তে শুরু করেছে মানুষের বসবাস। যেখানে শরৎকালে কাশবন দেখতে আসতো মানুষ, সেখানে এখন নতুন নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে; উঠছে একের পর এক ভবন।
উদ্বোধন ঘিরে মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকাসহ নগরীর মানুষের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস, আনন্দ। বিআরটিসি বাস চলাচলের প্রস্তুতিও রয়েছে। শুধু তাই নয়, মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা ও মিরপুরের কিছু অংশ মানুষের আয়ের পরিধিও হয়ে উঠেছে।
মেট্রোরেল চালু হলে, হাতেরমুঠোয় চলে আসবে সময়ের হিসাব তাই রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হলেও এরইমধ্যে এখানে গড়ে উঠছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস। বিশাল এই প্রকল্পের উন্নয়ন-যাতনা, যারা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছেন তারা হলেন মিরপুরের মূল সড়কের পাশের ব্যবসায়ীরা। তবে এখন তারাও স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একটি জনপদের মানুষের জীবনযাত্রায় কতধরণের যে পরিবর্তন আনতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে রাজধানীর এই উত্তর প্রান্ত। পুরো দিয়াবাড়ি এলাকাজুড়ে শতশত বাড়ী নির্মিত হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন শুধুমাত্র এই মেট্রোরেলের কারণেই তাদের জীবনের এই কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
নির্বিঘ্নে, কম সময়ে চলাচল করা যাবে। যানজটে যে সময় নষ্ট হতো এখন সেটি অনেক কমে আসবে। সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মেট্রোরেলের কাজ হয়েছে। তবে সেটি যত্ন করে রাখতে হবে। আমরা যারা ব্যবহার করবো তাদেরকেও যত্নশীল হওয়া দরকার। মিরপুর ১২ নম্বরের স্টেশনের পাশে চায়ের দোকান দেন আবদুল হক।