ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালকে উড়িয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। আল হিলালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলল লস ব্লাঙ্কোসরা।
শনিবার রাতে রাবাতের প্রিন্স মুলে আব্দেল্লাহ স্টেডিয়ামে এ রেকর্ড গড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ভালভার্দের জোড়া গোলের পাশাপাশি একটি গোল করেন ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। আল হিলালের পক্ষে জোড়া গোল করেন লুসিয়ানো ভিয়েত্তো। বাকি গোলটি করেন মৌসা মারেগা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ফলও পায় হাতেনাতে। ১৩ মিনিটের মাথায় করিম বেনজেমার পাস থেকে দারুণ গোল করেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও তার একমাত্র গোলে লিভারপুলকে হারিয়েছিল রিয়াল। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আল আহলির বিপক্ষেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি।
১৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার ভালভার্দে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি তার দশম গোল। এর আগে সেমিফাইনালে আল আহলির বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি।
২৬ মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় সৌদি আরবের ক্লাবটি। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে চমক দেখানো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোলটি করেন মৌসা মারেগা। ২-১ এ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ৫৪ মিনিটে লস ব্ল্যাঙ্কোদের হয়ে লিড বাড়ান গত মৌসুমে ব্যালন ডি অর জয়ী ফরাসি ফরোয়ার্ড বেনজেমা। তার গোলটিতে সহায়তা করেন ভিনিসিয়ুস। এর চার মিনিট পর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালকে ৪-১ গোলে এগিয়ে দেন ভালভার্দে। কারভাহালের পাস থেকে এই গোল করেন তিনি।
৬২ মিনিটে বেনজেমাকে তুলে রদ্রিগোকে মাঠে নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। একই সময়ে চৌয়ামিনিকে তুলে দানি সেবায়োসকেও নামান তিনি। এর পরের মিনিটেই গোল খেয়ে বসে রিয়াল। আল হিলালের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার লুসিয়ানো ভিয়েত্তো গোল করে ব্যবধান কমান। সেই সঙ্গে খেলায় ফেরে উত্তেজনা। সেই উত্তেজনায় পানি ঢালতে ভিনিসিয়ুস সময় নেন মোটে ৬ মিনিট। দানি সেবায়োসের পাস থেকে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।
৭৯ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো রিয়ালের জাল খুঁজে পান ভিয়েত্তো। তাতে খেলায় কিছুটা প্রাণসঞ্চার হয়। কিন্তু বাকি সময় দুই দলের কেউই আর জাল খুঁজে পায়নি। শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।