রোববার তখন বিকেল। ওই সময় অটোরিকশায় হুট উঠিয়ে যাচ্ছিলেন কিশোর-কিশোরী। এ সময় তাদের কার্যকলাপ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পিছু নেয় তারা। এ সময় অটোরিকশা থামিয়ে স্থানীয় মাদরাসা সংলগ্ন একটি নির্জন বাগানে ঢুকে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হন তারা। পরে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতে-নাতে আটক করে স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। আটক কিশোর লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন সুতারগোপটা এলাকার ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে অটোরিকশায় হুট উঠিয়ে করইতলা বাজার থেকে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল ওই কিশোর-কিশোরী। এ সময় তাদের কার্যকলাপ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পিছু নেয় তারা। এ সময় অটোরিকশা থামিয়ে স্থানীয় হাজীপাড়া আল আরাফা দারুলউলুম দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন একটি নির্জন বাগানে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। পরে কাছেই ওই কিশোরীর ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির পরিচয় দিলে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়।
কিশোরী জানান, দুই মাস আগে ধানের কুড়া (ভুষি) কিনতে আসার সুবাদে কিশোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর মোবাইলে কথা বলে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার কিশোর তাকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে আনে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুজন অটোরিকশায় ঘুরাফেরা শেষে কিশোরীর ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এ সময় কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিশোর তাকে নির্জন একটি বাগানে নিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে আটক করে।
চরলরেন্স গ্রামের আব্দুল হাসিম বলেন, কিশোর-কিশোরীকে স্থানীয়রা আটক করার পর তারা একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানান। পরে কিশোর বিয়ে করার সম্মতি জানান। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় দুজনকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়া প্রেমিক যুগল এখন থানায় আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।