নাটোরে নলকূপের পাশে ১০ ফুট মাটি খুঁড়ে শাহীন শাহ নামে এক পরকীয়া প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বড়াইগ্রাম পৌরসভার জলন্দা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শাহীন শাহ সদর উপজেলার দস্তানাবাদ গ্রামের নজির শাহর ছেলে। এ ঘটনায় সৌদিপ্রবাসী আয়ুব আলীর স্ত্রী জলন্দা গ্রামের হেলাল হোসেন ফালুর মেয়ে হুসনেয়ারাকে আটক করেছে পুলিশ।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) শরিফ আল রাজীব লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত শাহীন শাহের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, গত সোমবার কোর্টের কাজ শেষে করে বাড়িতে যান শাহীন শাহ। এসময় হুসনেয়ারা ফোনে তাকে ডেকে নেন। সেই দিন রাত থেকেই শাহীনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার শাহীনের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
হুসনেয়ারা বড় ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, একটা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে শাহীনের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব। তখন থেকেই আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল শাহীনের। ঠিক কখন বোনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছে বুঝতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার বোনকে সিংড়ায় বিয়ে দিয়েছি। স্বামী আয়ুব আলী ওমানে চলে যাওয়ার পর থেকে সে আমাদের বাড়িতেই থাকে।
অভিযুক্ত হুসনেয়ারা বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে প্রায়ই আমাকে উত্ত্যক্ত করেন শাহীন। সোমবার সন্ধায় আমার বাড়িতে আসেন। আমার মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমার সঙ্গে মেলামেশার চেষ্টা করেন। আমি তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করি। তার প্যান্টের বেল্ট খুলে গলার ফাঁসি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করি। পরে নলকূপ মেরামতের জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেই।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় মৃতের বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শাহীনকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ।