ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা এতো সুন্দর। এই ভালোবাসার সবচেয়ে বড় উদাহরণগুলো মধ্যে একটি প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক। আর এজন্যই ইতিহাসে জায়গা পেয়েছে বেশকিছু অসম প্রেমের কাহিনী। তবে এ সম্পর্কে কখনো কখনো মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখতে হয়েছে।
তেমনই একটি তিক্ত প্রেমের সম্পর্কের সাক্ষী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির স্থানীয় বাসিন্দারা।
দ্বন্দ্বের জেরে প্রেমিকাকে বাথরুমে নিয়ে চাপাতি দিয়ে চুল কেটে দেন প্রেমিক। ফলে একসঙ্গে থাকা প্রেমিকা সেই বাসা ছেড়ে চলে যান। পরের দিন দেওয়ার পরের দিন আসেন নিজের জরুরি জিনিসপত্র নিতে। আর তখনই তার গলায় শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে ফেলেন প্রেমিক। ঘরের মেঝেতে সেই শিকল আটকে রাখেন। এভাবে সেখানে দুই দিন বন্দী অবস্থায় কেটে যায় ওই নারীর।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর সাহায্যের আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তারাই পুলিশে খবর দেন। স্থানীয় সময় গত বুধবার লুইসভিল মেট্রো পুলিশ কর্মকর্তারা দ্বিতল ওই বাসার ভাঙা জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সেই নারীকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, তারা দরজা-জানালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পুরো বাড়িই প্রাচীর দিয়ে আটকানো ছিল। তাই তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। পরে বন্দী ওই নারীই তখন দ্বিতীয় তলার কাচের জানালা ভেতর থেকে ভেঙে ফেলেন। পরে এক প্রতিবেশী মই নিয়ে এগিয়ে আসেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীকে উদ্ধার করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যরা। চাবি না থাকায় গলায় শিকলে বাঁধা তালা ভেঙে ফেলেন তারা।
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে উদ্ধারের দুই দিন পর তার প্রেমিক ও বাড়ির মালিক মোসেস মে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। এরই মধ্যে মের বিরুদ্ধে অপহরণ, নিপীড়নসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।