ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোর করে দোকান দখলে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আপন তিন ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন মা আমেনা খাতুন। গত ২৩ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন তিনি।
মামলার বাদী আমেনা খাতুন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের হোয়াজের বাড়ির মৃত আবদুল হাইয়ের স্ত্রী। তার আপন তিন ছেলে হলেন- আবুল খায়ের (৫২), মো. ইমরান হোসেন (৪৫) ও মোশারফ হোসেন। এছাড়াও তাদের ভাড়াটিয়া নাটাই গ্রামের আবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমানকে আসামি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী আমেনা খাতুন আমৃত্যু বটতলী বাজারের আটটি দোকানের ভাড়া ভোগদখল করবেন এই শর্তে তার স্বামী আবদুল হাই তাদের ৫ ছেলের নামে মালিকানা হস্তান্তর করেন। ছেলেরাও এ বিষয়ে অঙ্গীকারনামা প্রদান করে। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি সকালে ৩ ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে মায়ের ভোগদখলে থাকা দোকানগুলো দখল করতে ভাঙচুর চালায়। এসব দোকানে থাকা মালামাল লুটপাট করেন তারা। ভাঙচুর-লুটপাটের সময় আমেনা খাতুনকে বাড়ির একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় গুরুতর আহত করে তাদের আরেক ভাই মো. আলী হোসেনকে।
হামলাকারীরা ভাড়াটিয়া রাহিম মিয়ার আইসক্রিম ফ্যাক্টরি থেকে মোটর, ফ্রিজ এবং অন্যান্য মেশিনারিজসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। আরেক দোকানের ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলামের ডেকোরেটর থেকে ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। আরমান খানের ওষুধের দোকানে ঢুকে ১ লাখ টাকার ওষুধ নষ্ট করে।
লোকমানের ফাস্টফুডের দোকান ভাঙচুর করে ২ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়া মো. শাহাব উদ্দিনের দোকান, শাহ জামালের খাবার হোটেল এবং রেহান উদ্দিনের চায়ের দোকান ভাঙচুর করে আরো প্রায় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে এ ঘটনায় মামলা করলে মা আমেনা খাতুন ও ভাই আলী হোসেনকে খুন করে মরদেহ গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।