মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপিসহ ৩৩০ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার সকালে ফেরত পাঠানোর উদ্দেশে তাদের কক্সবাজারের ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, ভোরে তাদের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে তাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ করে নেয়া হবে গভীর সাগরে। যেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ। সেই জাহাজের মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত যাবেন এসব মিয়ানমার নাগরিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের উপকূলের নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকা দিয়ে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বিজিবিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসছে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করছে। বিজিপিসহ ৩৩০ সদস্যকে পৃথক নৌযানে ঐ জাহাজে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।
ঐ সময় তিনি বলেন, তারা (মিয়ানমার) আমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে যে তারা খুব শিগগিরই জাহাজে করে তাদের ফিরিয়ে নেবে। আশা করছি তারা তাদের সদস্যদের দুই-এক দিনের মধ্যে ফিরিয়ে নেবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই, কোনো যুদ্ধ নেই।
প্রসঙ্গত, সংঘাতের জেরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পরপর কয়েকদিন বিজিপিসহ ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।