জেলা প্রতিনিধি, সিটিজেন নিউজ: ১৫ বছর আগে গ্রেনেড-বারুদে হারিয়ে ফেলা সঙ্গীদের খুজঁছিল ওরা। মোমের আলোয় রাজপথের সঙ্গীদের খুঁজে পেতে আবারও পথে নেমেছিল সবাই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে ছিল পথের সাথীদের ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা।
২০০৪ সালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের উদ্দেশে পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভী রহমানসহ সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আহতদের জন্য কামনা করা হয় সুস্থতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতিসত্তাকে আঘাত করার জন্যই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। এতে আইভি রহমানসহ ২৪টি প্রাণ ঝরে গেলেও শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা এখনও বিদ্যমান। একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে সমূলে নির্মূল না করা পর্যন্ত বাঙালির জাতিসত্তা কখনও নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র কখনও সফল হয় না বরং ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। এই সত্যটিকে অনুধাবন করেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের উচিত শাস্তি কার্যকর করার জন্য গণসংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, এদেশে একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও ফাঁসি হয়েছে। শেখ হাসিনার হত্যা প্রচেষ্টাকারীদের একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তা না হলে বাঙালি জাতিসত্তার অস্থিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক কাউন্সিলর ও নারী নেত্রী আবিদা আজাদ, লেখক ও সাংবাদিক নিজামুল ইসলাম সরফী, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, জাবেদুল আলম সুমন প্রমুখ।