নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক খুরশিদ জাহান উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক শাম্মি আক্তাকে এমপিও করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন। প্রধান শিক্ষকের চাহিদা মত ঘুষের টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় শাম্মি আক্তারকে চাকুরী চ্যুত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
ইজ্জ্যত হানির জন্য লেলিয়ে দিয়েছেন তার পালিত কয়েক জন শিক্ষককে। বিভিন্ন সময় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে নোটিশ জারি করছেন। শিক্ষার প্রতি মনোনিবেশ না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন নির্ভিগ্নে। অধ্যক্ষ না হয়েও নিজের কক্ষের সামনে অধ্যক্ষ লিখিয়েছেন। অন্যায় ভাবে স্কুলের জমি ট্রাষ্টে লিখে দিয়েছেন। দূর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একাদিক বাড়ি ও বিপুল পরিমান অর্থ। প্রধান শিক্ষকের পালিত খয়েরখা জানে আলম ও সানোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন যাবৎ সহকারী শিক্ষক শাম্মি আক্তারকে যৌন হয়রানী করে আসছেন। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০/৩০ ধারায় আদালতে মামলা করেন। মামলা নং- ১৭১/২০১৯। মামলায় বাদীর বক্তব্য থেকে জানা যায়, তিনি ২০১৩ ইং সাল থেকে কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা সহকারী শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করে আসছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খোরশিদ জাহান তাকে এমপিও করার নামে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসার শিকার হোন ঐ শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষক তার বিশ্বস্ত ঐ দুই সহকারী শিক্ষককে ভুক্তভোগীর পিছনে লেলিয়ে দেন। এই সুযোগে জানে আলম ও সানোয়ার হোসেন যৌন হয়রানি শিকার শিক্ষিকার সাথে খারাপ আচরণ, রাস্তায় পথ আটকিয়ে গাঁয়ে স্পর্শ করা ও বিভিন্ন সময় কুরুচি পূর্ণ ভাষা ব্যবহার সহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাদের লালশার শিকার বানাতে না পেরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি নোটিশ প্রেরণ করা হয়। নোটিশে তাকে চরিত্রহীন বানানোর হীন চেষ্টা করা হয়, বলা হয় আপনি বিভিন্ন হোটেলে রাত কাটান এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকেন। যাহা একজন নারীর চরিত্রে কলঙ্ক দেয়। একজন সচেতন লোক হিসেবে প্রধান শিক্ষক কখনও এরকম হীন কাজ করতে পারেন না।
অভিযোগে আরও জানা যায়, ঐ দুই শিক্ষক বর্তমানে বাদীকে নানা ধরনের হুমকি ও লোক-মারফত ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেন বলে জানান ভুক্তভোগী। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক তার বিশ্বস্ত সহকারী দুই শিক্ষকের মাধ্যমে দূর্নীতি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপরাধ অপকর্ম ও অনিয়ম করে আসছে। তাদের অপকর্মের বিষয়ে এলাকার অনেকেই জানেন। জনমনে প্রশ্ন এত অপকর্ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করার পরেও কোন গায়েবী শক্তির বলে তারা বহাল তবিয়তে আছেন? প্রধান শিক্ষক একজন নারী হয়ে অন্যায় ভাবে আরেক জন নারীকে চরিত্রহীন বানাচ্ছেন তার চরিত্র কত ভাল সেটা নিয়ে স্কুলের আস-পাশের একাধিক লোকের প্রশ্ন রয়েছে। গণিত শিক্ষক সানোয়ার হোসেন যৌন কেলেংকারীর অভিযোগে পূর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরী হারান বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবেন না বলে জানান।