আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক নাগরিকসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তুরস্কের সীমান্তে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুর্কি বাহিনী। কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুরস্কের এই সামরিক অভিযানে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই।
তুরস্কের অভিযানে কমপক্ষে ১১ বেসামরিক এবং কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন এসডিএফ এবং তুর্কি সমর্থিত বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হয়েছে। তুরস্কের সেনাবাহিনীর তরফ থেকেই এক তুর্কি সেনার নিহত হওয়ার খবর প্রথম পাওয়া যায়। ওই এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এমন অবস্থায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্যরা তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি বিল উত্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিয়েছেন।
গত বুধবার সিরিয়া থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার পর সিরিয়ায় অভিযানের নির্দেশ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সমালোচকরা বলছেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করে সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করতে তুরস্ককে সবুজ সংকেত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল এসডিএফ। মূলত তাদের বিরুদ্ধেই এখন সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুর্কি বাহিনী।
এদিকে, কুর্দিশ রেড ক্রস জানিয়েছে, বুধবার তুরস্ক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ জন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও ২৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।