নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হাউজবিল্ডিং এলাকায় মেইন রোডের পাশে গড়ে উঠা ১৫ (পনের) তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন হোসাইন টাওয়ার। ভবনটির আন্ডার গ্রাউন্ডের কারপাকিং এর জায়গাটি দির্ঘদীন ধরে দখল করে রেখেছে সন্ত্রসীরা। মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও এখনও উত্তরার হোসাইন টাওয়ারের আন্ডার গ্রাউন্ডের কারপার্র্কিং এর জায়গাটি দখলমুক্ত হয়নি। দেশ জুড়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলেও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অঞ্চল-২ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে উত্তরার হোসাইন টাওয়ারের কারপার্কিংটি দখল করে ছোট ছোট দোকান তৈরী করে অবৈধ ভাবে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা।
উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বানিজ্যিক ভবনগুলোতে পর্যাপ্ত কার পার্কিং এর ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ মার্কেটে আসা যাওয়া ক্রেতা সাধারণ এবং অফিস মালিকরা ভবনের সামনে মেইন রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে প্রতিনিয়ত সেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মেইন রোডের পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণ জানতে চাইলে, ড্রাইভার এবং গাড়ীর মালিকগণ জানান হোসেন টাওয়ার এর গাড়ি পার্কিং এর জায়গাটি এখন দূর্বৃত্যদের দখলে, তাই তারা সেখানে গাড়ি রাখতে না পেরে রাস্তার পাশেই রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও রাজউকের অভিযানের মাধ্যমে জনস্বার্থে পার্কিং ব্যবস্থাটি উদ্ধার করা হলেও ধীরে ধীরে এই চক্রটি আবারো গত ২/৩ বৎসর যাবৎ জোর পূর্বক হোসাইন টাওয়ারের গ্রাউন্ড ফ্লোরটিকে সন্ত্রাসীদের আখড়া বানিয়ে দোকান নির্মাণ করে সেখানে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে তারা সেখানে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মহামান্য হাইকোটের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন কার পার্কিং ব্যবস্থাটি মুক্ত করা যাচ্ছে না বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জোন-২ এর পরিচালক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানায়, তাদের নিকট পর্যাপ্ত জনবল ও পুলিশ না থাকার কারণে তারা দীর্ঘদিন হোসাইন টাওয়ারের কারপার্কিংটিতে অভিযান চালাতে পারেনি। তিনি আরো জানান বর্তমানে রাজউক উত্তরা জোন-২ এর মোবাইল কোট অভিযান অব্যাহত রয়েছে, শিগ্রই তারা মোবাইল কোটের মাধ্যমে হোসাইন টাওয়ারে কার পার্কিং ব্যবস্থাটি উদ্ধার করে জনস্বার্থে ব্যবহারের ব্যবস্থা করবেন।