নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ভাগ্য নির্ধারণ হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকাণ্ড। আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্লিন ইমেজের নেতাদের সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে ইসহাক মিয়াকে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে সময়ের দাবি সকল নেতাদের। বিএনপি জোট সরকারের জুলুম-নির্যাতিত ছাত্রনেতা মোঃ ইসহাক মিয়া সব সময় তার ক্লিন ইমেজ ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । তাকে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে প্রত্যাশা করেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তিনি রাজনৈতিক জীবন পুরো সময়টাই বিরোধী দলের হয়ে পার করে দিয়েছেন।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । ইসাহাক মিয়া প্রখর দূরদর্শীতার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল রাজনেতিক কর্মকান্ড সফলভাবে পালন করেছে। উত্তরের কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন ইসহাক।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আন্দোলন আর সংগ্রামে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রেখেছে। ইসহাক মিয়া বি.এন.পি ও জামাতের অত্যাচার ও জেল জুলুমে ভয় না পেয়ে সকল কার্যক্রম চালিয়েছেন।
বিএনপি-জামাতের ভয়ে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ কোণঠাসা হয়ে সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক তখন ইসহাক মিয়া ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রনেতাদের সাহস জুগিয়েছেন। তিনি জানেন কিভাবে একজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মূল্যায়ণ করতে হয়। অনেক ত্যাগ ও শ্রমের বিনিময়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ১৯৯১ সালে তেজগাঁও কলেজ ছাত্র সংসদে জি.এস, ১৯৯৪ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৯৯ সালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০০০ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০২ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।
এছাড়া ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় কারাগারে অন্তরীন হন। ২০০৪ সালে ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হন এবং শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এখন ও তিনি ঠিকমতো কানে শুনতে পান না।তিনি ২০১০ সালের ২৭ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির ইতি টানেন। দীর্ঘ ৯ বছর পদ ছাড়া থেকেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলেছেন। কর্মীবান্ধব ও সৎ মোঃ ইসহাক মিয়া ইসহাক তাঁর ন্যায্য সম্মান প্রাপ্তির প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রির নিকট।
ইসহাক মিয়া জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে যদি ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন, তাহলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দায়িত্ব যথাযথ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পালন করবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে ইসহাক মিয়ার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তরে।