নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতি, গুম, খুন ও সন্ত্রাস বেড়েই চলেছে। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে সব কিছু, এখন চলছে দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা থাকলে দেশে ৫ কোটির বেশি বেকার থাকতে পারে না।’
রোববার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে পার্টির মহানগর উত্তরের আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নুর হোসেন ও ডাক্তার মিলন হত্যার ইস্যু তুলে দেশের মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করা হয়। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেয়া হয়। এর একটা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে নুর হোসেন ও ডাক্তার মিলনসহ ষড়যন্ত্রমূলক সব হত্যার বিচার করা হবে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক শাসন তুলে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকেই কাঠামোগত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। তবে, গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হয়েছে বারবার।
জিএম কাদের বলেন, আমরা ন্যায়-বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চালু করবো। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সারাজীবন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের পথে অবিচল ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।