নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীনরসিংদীতে মেরিস্টোপস ক্লিনিক থেকে তিন দিন বয়সী এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে শহরের বাসাইলে এ ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া নবজাতক নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটনা গ্রামের শাহআলম ও সখিনা বেগম দম্পত্তির সন্তান।
এ ঘটনায় নবজাতকের পরিবার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, নবজাতকের পরিবার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাতে শাহআলমের স্ত্রী সখিনা বেগমকে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ মেরিস্টোপস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন রবিবার সকালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে এক কন্যা নবজাতকের জন্ম হয়। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে খেতে বসেন নবজাতকের মা সখিনা বেগম। এ সময় ক্লিনিকের গাইনি ওয়ার্ডের ভেতরে আগে থেকেই আত্মীয় বেশে ঘুরাফেরা করা অজ্ঞাত এক নারী নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিল পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কৌশলে নবজাতককে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন নবজাতকের পরিবার।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই নবজাতকের মায়ের এক নারী আত্মীয় এসে নবজাতককে সরিয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা ওই নারী আত্মীয়কে দেখেছেন নবজাতককে নিয়ে যেতে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ থেকে খবর পেয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নবজাতকের মা সখিনা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ হাসপাতালের ১৩ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে পারছিলাম না। পরে তারা ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এই টাকা যোগাড় করতে আমার বিলম্ব হচ্ছিল। এরই মধ্যে আমার কন্যা শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা, বিল দিতে না পারায় ক্লিনিকের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মেরিস্টোপস ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়া জাহান বলেন, ‘ক্লিনিকের বিলের জন্য চাপ দেওয়া হলে নবজাতকের মা কৌশলে নবজাতককে সরিয়ে নিয়ে উল্টো আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। নবজাতককে যে অজ্ঞাত নারী নিয়ে গেছেন সে নারী তারই আত্মীয় হিসেবে এই ক্লিনিকে এসেছেন বলে অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরাও জানিয়েছেন।’
নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হাসান বলেন, ‘নবজাতক চুরির ঘটনায় পরিবার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’