অনলাইন ডেস্ক: নারীর মতো পুরুষেরও প্রতিদিন যথেষ্ট ত্বকের যত্ন প্রয়োজন। পুরুষরা প্রতিদিন শেভ করে বা দাড়ি কামায় বলে তাঁদের কিছু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। পুরুষের ত্বক নারীদের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের ত্বক ২৫ শতাংশ পুরু হয়। পুরুষদের ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ এবং সেবাম তৈলগ্রন্থিও বেশি। সুতরাং তুলনামূলকভাবে পুরুষের ত্বকে ধীরে বয়সের ছাপ পড়ে নারীদের তুলনায়। তাই পুরুষেরও ত্বকের জন্য ক্লিনজিং ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন প্রয়োজন আছে। পুরুষের ফেসিয়াল করারও দরকার আছে।
ক্লিনজিং: ত্বক অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। যথাযথ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করবেন। হালকা গরম পানি ব্যবহার করবেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান দিয়ে গোসল করবেন।
ময়েশ্চারাইজিংত্বক স্বাভাবিক হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও হয়। কিন্তু ত্বক শুষ্ক মনে হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। পুরুষদের ত্বক সাধারণত তৈলাক্ত হয়। তবে শীতের দিনে শুষ্ক হয়। এ ক্ষেত্রে আবহাওয়া অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বদলে ব্যবহার করতে হবে।
মুখ তৈলাক্ত এবং শরীরের ত্বক শুষ্ক হলে শরীরে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করবেন।
গোসলের আগে তেল মালিশ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল বা সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করবেন।
সানস্ক্রিন: এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে অবশ্যই সানস্ক্রিন যথাযথ নিয়মে ব্যবহার করতে হবে।
শেভ: প্রায় প্রত্যেক পুরুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাড়ি কামায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ছয় হাজার থেকে ২৫ হাজার দাড়ি থাকে। ২৪ ঘণ্টায় ০.৪ মিলিমিটার দাড়ি বড় হয়। তবে মুখের সব জায়গার দাড়ি একই হারে বড় হয় না। তবে গোঁফ কিছুটা দ্রুত বড় হয়।
সঠিকভাবে শেভ করার উপায়: প্রথমে হালকা সাবান বা ক্লিনজার ও গরম পানি দিয়ে দাড়িসহ মুখ ধুয়ে নিন। শেভ করার আগে গোসল করে নেবেন। তাতে দাড়ি নরম হবে।
দাড়ি সাধারণত নিচের দিকে, অর্থাৎ নিম্নগামী হয়ে গজায়। দাড়ি তাই ওপর থেকে নিচের দিকে রেজার টেনে কামাতে হবে। তবে অনেকেই ভুলভাবে দাড়ি কামায়।
শেভিং ক্রিম বা জেল ভেজা দাড়িতে প্রথমে লাগিয়ে নেবেন। এতে করে দাড়ি কামানোর সময় ত্বকের ক্ষতি হয় না।
ধারালো ব্লেড দিয়ে সব সময় দাড়ি কামাবেন। পুরোনো ব্লেড ব্যবহার করবেন না।
দাড়ি কামানোর পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন এবং আফটার শেভ লাগাবেন। সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালকোহলযুক্ত আফটার শেভ লাগাবেন না, ত্বক জ্বালা করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে আফটার শেভ জেল বা ক্রিম লাগাতে পারেন। আর ত্বক শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করবেন।
রেজার: নানা ধরনের রেজার ব্যবহৃত হয়। একবার ব্যবহারের জন্য রেজার, ব্লেডযুক্ত রেজার আবার ইলেকট্রিক রেজারও রয়েছে।