বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: সংস্কৃতি একটি শব্দ অনুশ্বর। যার আভিধানিক অর্থ চিরস্থায়ী সম্পর্ক বা অমলিন বন্ধুত্ব । এই বন্ধুতের ক্ষেত্রে বয়স কোন বাধা নয়। বাধা নয় পদমর্যাদা বা আভিজাত্যতা। আত্মীক সম্পর্কের মেলবন্ধনে সবাইকে এক সুতোয় বেধে রাখে। এমনই এক সম্পর্ক সৃষ্টিকারী সংগঠন, ‘উত্তরখান মনিং ওয়াক টিম’। এ সংগঠনের সদস্যদের অনেকেই প্রবীণের খাতায় নাম লিখিয়েছেন, কেউ অবসর জীবন যাপন করছেন, কেউ বা আবার অবসরে যাবার দিন গুনছেন। সম্প্রতি এই সংগঠনের নবীন ও প্রবীণ বন্ধুদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আনন্দ আয়োজন। যেখানে ছিল পারিবারিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুুষ্ঠান ।
নবগঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মনিং টিমের অন্যতম সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন সহ পূবাইলের আপন নিবাসে পরিবারের সদস্য স্ত্রী সন্তাদের নিয়ে আনন্দ যাত্রা শুরু হয় সকাল ৮.০০ টায় উত্তরখান মাজার এলাকা থেকে। সকাল ৯.৩০মিনিটের দিকে বনভোজনের গাড়ির বহর প্রবেশ করে আপন নিবাসে। সবুজে ঘেরা উদ্যান সদৃশ্য খোলা আকাশের নিচে নেমে আসে আনন্দের ঢেউ। সেই ঢেউ উছলে পড়ে নবীন প্রবীন, শিশু-কিশোদের মনের ডাঙায়। সকালের নাস্তা গ্রহনের পর শুরু হয় বিভিন্ন বয়সীদের নিয়ে খেলাধুলার পর্ব। খেলার মধ্যে ছিল শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান,ভাবিদের মাঝে বড়দের মাঝে ঐতিহ্যবাহী বালিশ খেলা ও চেয়ার খেলা, ইত্যাদি । খেলার ফাঁকে ফাঁকে চলে জম্পেশ আড্ডা। সংগঠনের সদস্যরা হারিয়ে যান ফেলে আসা স্মৃতি ময় অতীতে। হাসি ঠাট্টার মাঝে ঘোষনা আসে দুপুরের খাবার গ্রহনের। জুম্মার নামাজ শেষে বেলা যখন দুইটা- বাঙালি খাবারের রসনার তৃপ্তি তখন সবার চোখে মুখে।
দুপুরের খাবারের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামছুল আলম দুলাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন মর্নিং টিমের অন্যতম সদস্য সাগর আহমেদ, দুলাল ও অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ। গানের মুগ্ধতার পর শুরু হয় র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের দেয়া হয় মূল্যবান পুরস্কার। র্যাফেল ড্র-তে প্রথম পুরষ্কার ৩২ ইি এল ইডি টিভির বিজয়ী টিকিটের নাম্বারটি মিলে নেন মোসাঃ নাজমা বেগম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. নুর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন উপস্থিত সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সময়ের কাঁটা খুব দ্রুতই যেন চলে গেল। বিকালের গোধূলী আলোয় জানান দিল চলে যাবার সময় হয়েছে। এবার ঘরে ফেরার পালা। সারাটা দিন বন্ধুদের সাথে হাসি ঠাট্টা আর আনন্দে কাটানোর পর বিদায়ের ক্ষণে সবার মাঝে কেমন যেন বিষাদের ছায়া ভর করে। তবু সময়ের আহব্বানে সাড়া দিয়ে বিদায় নিতেই হবে, এটাই হলো বাস্তবতা। একটি বছর পর আবারও এমনই দিনে একত্রিত হবার তীব্র বাসনা নিয়ে বিদায় নিলেন “অনুশ্বর” বন্ধুরা।