হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রয়াত সুবীর নন্দীর পৈতৃক বাড়িজাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর হবিগঞ্জের পৈতৃক ভিটা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের লোকজন বাড়ির অধিকাংশ জায়গা দখল করেছে। দু’টি ভবন বর্তমানে পরিত্যক্ত রয়েছে। এগুলোতে রাতে বখাটেদের আড্ডা চলে। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে শিল্পীর স্মৃতি ধরে রাখতে বাড়িটিতে পাঠাগার কিংবা জাদুঘর তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বছরের মে মাসে মারা যান সুবীর নন্দী। এরপর থেকে গুণী এ শিল্পীর বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ার বাড়িটির অধিকাংশই বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বানিয়াচং উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কাজল চ্যাটার্জী বলেন, ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ সংগীত শিল্পীর বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ ও বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য সংরক্ষণ করা দরকার।
পরিত্যক্ত বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব রায় সুজন বলেন, ‘শিল্পীর শেষ স্মৃতি পৈতৃক বাড়িটি দখলমুক্ত করাসহ বাড়িটিকে সংরক্ষণ করে সুবীর নন্দীর স্মৃতি ধারণ ও সংস্কৃতি চর্চার প্রতিষ্ঠান করার দাবি জানাই।
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী ইমদাদুল হক জানান, ‘সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে এখানে স্মৃতি জাদুঘর কিংবা গণপাঠাগার তৈরি করে তার স্মৃতিকে ধরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।
সুবীর নন্দীর বাল্যবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক জানান, ‘সুবীর নন্দীর ইচ্ছে ছিল তাকে যেন হবিগঞ্জে দাহ করা হয়। কিন্তু ইচ্ছা পূরণ হয়নি। আমাদের দাবি সুবীর নন্দীর স্মৃতি রক্ষায় তার পৈতৃক ভিটা জমিদার বাড়িটি উদ্ধার করে সেখানে জাদুঘর তৈরি করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্পী সম্পর্কে জানতে পারবে।
হবিগঞ্জ সুর বিতানের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল জানান, ‘সুবীর নন্দীর নামে হবিগঞ্জে কিংবা তার পৈতৃক ভিটায় গণপাঠাগার কিংবা জাদুঘর তৈরি করা হলে তরুণ প্রজন্ম তাকে যুগ যুগ ধরে জানবে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার বলেন, ‘বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’