সিলেট প্রতিনিধি: বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার হাসপাতাল প্রাঙ্গনে র্যালী বের করা হয়; যা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আউটডোর কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন, নিজেকে জানুন’।
র্যালী শেষে আয়োজিত সভায় হাসপাতালের পরিচালক এ কে মাহবুবুল হক তার বক্তব্যে বলেন, এইচআইভি এখন আর ভয় পেয়ে বসে থাকার মতো কোন বিষয় নয়। একটু সচেতন থাকলে সহজেই এইরোগ নিয়েও ভাল থাকা যায়। তাছাড়া সরকার এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন আর এর সুফলও এইচআইভি আক্রান্তরা পেতে শুরু করেছে। এখন আমাদের উচিত এইচআইভি পরীক্ষা করে নিজের অবস্থা জেনে নেয়া এবং পরিচিত জনকেও পরীক্ষা করতে উদ্বুদ্ধ করা। সঠিক সময়ে এইচআইভি সনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এইরোগ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখা সম্ভব।
ইউনিসেফ এর সহয়তায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাস্তবায়িত এইচআইভি সেবা জোরদার করণ কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক মোঃ মোতাহের হোসেনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন হাসপাতালের এআরটি সেন্টারের সমন্বয়ক ডাঃ আবু নঈম মোহাম্মদ এরপর বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগন তাদের বক্তব্য উপস্থপন করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, মজির উদ্দিন, ফাতেমা বেগম, আব্দুল মোতলেব, জসিম উদ্দিন প্রমূখ। হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টাফদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হাকিম সুমন, খায়ের আহমেদ চৌধুরী, পরিমল বনিক প্রমুখ।
সভায় বক্তাগন সিলেটের এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন সহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এবছর সারা দেশে মোট ৮৬৯ জন লোক নতুন ভাবে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সিলেট বিভাগের ৬৬জন রয়েছেন। এনিয়ে সিলেট বিভাগেমোট ৯০২ জন এইচআইভি আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেন। তার মধ্যে ৩৬৬ জন মারা গেছেন এবং ৫৩৬ জন জীবিত আছেন।
এইচআইভি আক্রান্তদের সংগঠন পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্ক সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি বৃন্দ, আইনজীবি, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় ওসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ও বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকগন অংশগ্রহন করেন।