রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

জাবিতে হল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ভর্তিচ্ছুরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৪৫ বার পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর ২৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকার পরও বুধবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম। সূচি অনুযায়ী বুধবার ‘সি১’ ইউনিটের চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরা।

বিগত বছরগুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের পরিচিতদের কাছে থেকে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেন। তবে এবার হল বন্ধ থাকায় আবাসন সংকটে ভুগছেন চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু ভর্তিচ্ছুকে ঘুরতে দেখা গেছে, যারা শুধু হলে থাকার ভরসায় এসেছেন।

এমনই একজন যশোরের মনিরামপুর থেকে আসা রাতুল বিশ্বাস বাপ্পি। হল বন্ধ ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে পরিচিত কেউ না থাকায় ক্যাম্পাসেই ঘুরতে দেখা যায় তাকে।

রাতুল বিশ্বাস বলেন, ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে হলে থাকা এলাকার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে ছিলাম। এবারও হলে থাকার আশা নিয়েই চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে জানতাম। কিন্তু হলে থাকা যাবে না এমন কিছু জানতাম না। ঢাকায় বা ক্যাম্পাসের আশপাশেও আমার কেউ নেই। এখানে এসে তো মহাবিপদে পড়ে গেছি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের পাশেই রাতুল বিশ্বাসের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। গত ৭ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া চারুকলা বিভাগের এই ব্যবহারিক পরীক্ষায় বুধবার প্রায় ১৭০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এই ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তির বিষয়টি চিন্তা করে পরীক্ষার সময় বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রগতিশীল ছাত্রজোট, সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে তার কাছে একটি আবেদনপত্র দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসবে। এর আগে অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এ বছর হল বন্ধ থাকায় যাদের থাকার জায়গা নেই তারা অধিকাংশই আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করবে। যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রাতে যান চলাচলে বিঘ্নতা, নদীর নাব্যতা কম থাকায় জলপথে যাত্রায় বিঘ্নতা ঘটছে। তাই যাত্রাপথের এ বিড়ম্বনাসহ আবাসন সংকটের বিষয়টি চিন্তা করে নির্ধারিত দিনের বাইরে অতিরিক্ত শিফটের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব করা হোক।

এ বিষয়ে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, আমরা পরীক্ষার সময় বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি তারা বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় বৃদ্ধি করা হবে না। তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী যুক্তিসঙ্গত কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে তবে পরের দিন তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওইদিনই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি
আবাসিক হল সমূহও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com