নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আবার হট্টগোল করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার জামিন ও স্বাস্থ্যের তথ্য নিয়ে শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তারা এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার অবতারণা করলে আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন সমুচিত ব্যবস্থা নেয়। আইনজীবীরাও সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
আইনজীবী সমিতির সফিউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তাপস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আইন সবার ঊর্ধ্বে। যখনই এই আইন অঙ্গনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে আমরা দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি। এবারও জবাব দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসন সর্ব ঊর্ধ্বে, সবাইকে আইনের আওতায় থাকতে হবে। তারা এজলাসে প্রধান বিচারপতিসহ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নজিরবিহীন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা আন্দোলন করে স্লোগান দিয়েছে, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং বিচারের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী আইনজীবী নেতা আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, তা আপনারা সবাই দেখেছেন। বিষয়টা কী? সুপ্রিম কোর্টের মালিক এ দেশের মানুষ। দেশের মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত আদেশ দিয়েছে, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার জন্য রিপোর্ট প্রদানের। বিএসএমএমইউ বলেছে, সবকিছু দেখে রিপোর্ট দেয়ার জন্য সপ্তাহখানেক সময় প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এর জন্য তারিখ রেখেছেন আপিল বিভাগ। এটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তারা আগুন হয়ে গেছে। আদালতে তারা যে ব্যবহার করেছে তা অভাবনীয়। সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা, নিরপেক্ষতা, ভাবমূর্তি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। তারা আদালতের কাজে বাধা দিয়ে আদালত অবমাননাজনক অপরাধ করেছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করতে চাই, এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তা না হলে ভবিষ্যতেও তারা এ রকম ধৃষ্টতাপূর্ণ কাজ করবে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা আজ সকাল থেকে আদালতে ছিলেন। আমরাও আদালতে ছিলাম। আমি আজকে যেটি দেখলাম, আমার মনে হয় আমাদের যারা সিনিয়র আছেন, তারা কোনোদিন এ ধরনের ঘটনা দেখিনি। এটি ন্যাক্কারজনক, নিন্দনীয় ঘটনা।’
এ আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা এ ধরনের কাজ করল তারা অধিকাংশ আইনজীবী না। তারা বহিরাগত। কালো কোর্ট, ব্যান্ড পরিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে চিৎকার দেয়ার জন্য। অর্থাৎ তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ কাজ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’