মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: যৌতুকের দাবিতে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিটন (৩৮) ঘিওরের হিজুলিয়া গ্রামের ছবির উদ্দিন খানের ছেলে।
মামলার এজাহার ও ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে লিটন খানের সঙ্গে একই উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের ঠাকুরকান্দি গ্রামের সাহেব আলী মেয়ে চায়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চায়নার বাবার কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে। ২০০৯ সালের ২৪ জানুয়ারি চায়নার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় চায়নাকে তার স্বামী লিটন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরপর ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে চায়নাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরের দিন চায়নার বাবা সাহেব আলী বাদি হয়ে স্বামী লিটন, শাশুড়ি রিজিয়া খাতুন ও শ্বশুর ছবির উদ্দিনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করে। এরপর ওই বছরের ৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) কুদরত-ই-খুদা আসামি লিটন খানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অপর দুই আসামির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নূরুল হুদা ওরফে রুবেল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন শিপ্রা রানী সাহা।
পিপি রুবেল বলেন, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন খান ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে সে পলাতক।