আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলেও কোনো পক্ষই সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়নি। গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তারপর থেকে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের দামামা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যেন হুট করেই নিজের সিদ্ধান্তে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে না পারেন সেজন্যই প্রতিনিধি পরিষদে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট হয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন নিজের ইচ্ছামতো যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সেজন্য তার ক্ষমতা খর্ব করতে প্রতিনিধি পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের এই ভোটে ট্রাম্পের ক্ষমতা খর্বের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ওই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বিরোধী ডেমোক্রেট দলের সদস্যরা। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২২৪ জন এবং বিপক্ষে ১৯৪ জন ভোট দিয়েছেন।
এই প্রস্তাবনা পাসের ফলে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।
প্রতিনিধি পরিষদের এই প্রস্তাবনা সিনেটে ওঠা অন্যান্য প্রস্তাবনার মতোই। এই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কংগ্রেস থেকে পরবর্তীতে কোনো অনুমোদন না পেলে প্রেসিডেন্টকে ৩০ দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া বন্ধ করতে হবে।
তবে এই প্রস্তাবনা রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে পাস হওয়া বেশ কঠিন হবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ রিপাবলিকান সদস্যদের বেশিরভাগেরই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন রয়েছে।