নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস-প্রাইভেট কার ও রিকশার গাড়ির দীর্ঘ যানজট, গাড়ির উচ্চ শব্দের হর্ন, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ফুটপাতে মানুষের হেঁটে চলা, রিকশার টুং টাং শব্দ, শপিংমল থেকে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানে মানুষের ভিড়, এ যেন ব্যস্ত ঢাকার প্রতিদিনের চিত্র। সপ্তাহের ৭ দিনই এসব চিত্রের সঙ্গে অভ্যস্ত ঢাকাবাসী। তবে রাজধানীতে শনিবারের (১ ফেব্রুয়ারি) চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত যানবাহনের বাইরে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চিরচেনা সেই রাজধানীর রূপ বদলেছে। নেই সেই চিরচেনা যানজট, মানুষের ভিড় ও ফুটপাত এবং অলিতে গলিতে অস্থায়ী দোকানগুলো।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজ, সাইন্সল্যাব এলাকায় দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল গাড়ি, মিডিয়ার স্টিকারযুক্ত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স আর কিছু রিকশা ও সিএনজি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ির দেখা নেই। শপিংমল থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকানপাট সব বন্ধ। দুই একটা ডিসপেনসারি খোলা রয়েছে জরুরি ওষুধ সরবরাহের জন্য। ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন। কেউবা ভোট দিয়ে বাসায় ফিরছেন। ভোটারদের কেউ আসছেন রিকশায় আবার কেউ হেঁটে।
ভোট দিয়ে বাসায় ফিরছেন আফজাল হোসেন নামের ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। বললেন, ‘রাজধানীতে এমন পরিবেশ খুব কমই দেখা যায়। বছরে দুইটা ঈদ আর নির্বাচনের দিন ব্যস্ত ঢাকাকে ফাঁকা দেখা যায়। ঈদের দিন পাবলিক গাড়ি চললেও আজ কিন্তু চলছে না। তাই বাসা থেকে পায়ে হেঁটেই বের হয়েছি ভোট দিতে। এই ফাঁকা ঢাকা আর হয়ত বহুদিন দেখা হবে না।’
উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটিতে (উত্তর ও দক্ষিণ) শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ চলছে। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএম।