আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানিলন্ডারিংয়ের জন্য বৈশ্বিক আর্থিক নজরদারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম উঠতে যাচ্ছে মিয়ানমারের। মাদক পাচারকারীদের অর্থ পাচারের সুযোগ ও দুর্বল আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য দেশটিকে এই তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে বলে দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে।
প্যারিসভিত্তিক ফিন্যানসিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা (গ্রে লিস্ট) মিয়ানমারকে অর্ন্তভূক্তির অর্থ হচ্ছে আন্তঃসরকারীয় সংস্থা দেশটির মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন মোকাবেলার সামর্থ্যে ‘কৌশলগত ঘাটতি’ খুঁজে পেয়েছে।
তালিকায় নাম আসার অর্থ অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। তবে তালিকায় অর্ন্তভূক্তি মিয়ানমারের আর্থিক বিকাশ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রবাহকে কমিয়ে আনবে।
চলতি সপ্তাহে প্যারিসে এফএটিএফের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মিয়ানমারের ফিন্যানসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের প্রধান কিয়াও উইন থেইন।
রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, ‘এখনও মিয়ানমার ধূসর তালিকায় নেই’। বৃহস্পতিবার প্লিনারি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এফএটিএফের প্যারিসের প্লিনারি বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাধারণত শুক্রবার ঘোষণা করা হয়।
কিয়াও উইন থেইন জানিয়েছেন, মানিলন্ডারিং বন্ধে মিয়ানমার সরকার একটি কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
এফএটিএফের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটি তদন্তে জানতে পেরেছে মানিলন্ডারিং বন্ধে মিয়ানমারের কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে বহু দূরে রয়েছে। প্যারিস বৈঠকেই দেশটিকে ধূসর তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হবে।