ক্রীড়া প্রতিবেদক : ‘ওরা ভালো দল। ওদেরকে ছোট করে দেখতে নেই।’-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষে এ কথাই বলেছেন যুবা টাইগার শাহাদাত হোসেন। অথচ দ্বিতীয় দিন বিসিবি একাদশের কাছে যেনো পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে। তামিম-আল আমিন দুই টাইগারের শতকে যখনই লিড নিতে যাবে বিসিবি একাদশ তখনই ড্র এর আহবান দেয় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিন। আর সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ড্রতে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ।
বিকেএসপিতে প্রথম দিন পুরো ৯০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন পর্যাপ্ত হয়েছে মনে করে দ্বিতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি সফরকারিরা। দ্বিতীয় দিন শুরু করেন বিসিবি একাদেশের দুই বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ ও পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ২০ রানের মাথায় বিদায় নেন জাতীয় দলে খেলা নাইম। এরপরে দ্রুত আরো দুই উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ।
যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শতক হাঁকানো মাহমুদুল জয় করেন ১ ও শাহাদাত ফেরেন ২ রানে। এরপর অধিনায়ক আল আমিনকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার ইমন। তবে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। এরপরে মাঠে আসেন বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র অধিনায়ক আকবর আলী। ফাইনালে অসাধারণ খেলা এ ক্রিকেটার নতুন মঞ্চে পাওয়া প্রথম সুযোগে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ১ রান করে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।
বিসিবি একাদশের তখন বিবর্ণ অবস্থা। ৬৯ রানে নেই উপরের সারির ৫ ব্যাটসম্যান। তারমধ্যে চার যুব টাইগার পারেননি নিজেদের প্রমান করতে। তাদের ব্যর্থতা যেনো একাই নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তানজিদ হোসেন তামিম।
অধিনায়ক আল-আমিনকে সঙ্গী করে মাঠে জমাট জুটি গড়ে তোলেন তামিম। দিনের বাকি সময় তাদের আর আউটই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ের বোলাররা। ষষ্ঠ উইকেটে তামিম-আল আমিন ৩৫.১ ওভারে ২১৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শটের পসরা সাজিয়ে বসেন তামিম। মাঠের চারপাশে বলকে সীমানা ছাড়া করতে থাকেন এ টিনেজ তারকা। অধিনায়কের পরে নেমেও শতক হাঁকান তার আগে। তাও ৮৭ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায়।
শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১৪ চার ও ৫ ছয়ে ১২৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপে যুবাদের হয়ে ওপেন করা এ তারকা। আরেক প্রান্তে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ১৪৫ বলে নিজের শতক পূর্ণ করেন অধিনায়ক আল আমিন। ৫৯.৩ ওভারে বিসিবি একাদশ ২৮৮/৫ সংগ্রহ করলে ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আইনসোলে এনদোভু নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট। এছাড়াও টিসুমা, মুম্বা ও মুতোম্বোজি পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
বিসিবি একাদশ নিশ্চয়ই সাহস জোগাবে জাতীয় দলকে। টানা পাঁচ টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করা বাংলাদেশ, মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নতুন করে জয় দিয়ে নিজেদের ফিরে পাবে এ ম্যাচের পরে সে আশা করতেই পারে।