আদালত প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব কোর্টের স্বল্প আয়ের জুনিয়র আইনজীবীদের সাহায্যার্থে বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
শনিবার (২৮মার্চ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি এ প্রস্তাব পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদি। পরে বিষয়টি জাগো নিউজকে তিনি নিজে নিশ্চিত করেন।
মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে এবং ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য মহামারির সময়ে দেশের প্রত্যেকটি আইনজীবী সমিতিতে বার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে স্বল্প আয়ের এবং জুনিয়র আইনজীবীদের সাহায্যার্থে বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব রাখছি। উক্ত ফান্ড গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং বিত্তবান সিনিয়র আইনজীবীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রত্যেকটি বার অ্যাসোসিয়েশনে আলাদা তহবিল গঠন ও বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন এখন সময়ের দাবি।
করোনা ভাইরাসের কারণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের পৃথক দুটি বেঞ্চ গত (২৪ মার্চ) আইনজীবীদের উপস্থিতি ছাড়াই খাস কামরায় বসে আদেশ দিয়েছেন। তবে, অপর তিনটি বেঞ্চ প্রকাশ্য আদালতে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো. বদরুদ্দোজার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ খাস কামরায় বসে মামলার নথি থেকে আদেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচাপরতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এজলাসে বসে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে ২২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে জামিন ও জরুরি বিষয় ছাড়া মামলার বিচার কাজ মুলতবি রাখা হয়। এরও আগে গত ১৯ মর্চ প্রধান বিচারপতি প্রিজন ভ্যান বা অন্য কোনোভাবে কারাবন্দি আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করতে দেশের সব অধস্তন আদালতকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিদের কারাগারে রেখেই জামিন শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতি পাঠানো প্রস্তাবে মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে ষাট হাজার আইনজীবী সমাজের মধ্যে স্বল্প আয়ের এবং জুনিয়র আইনজীবীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।