অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত এক মাসে সার্বিক পণ্য রপ্তানি কমেছে। গত মাসে বিশ্ববাজারে ২৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে সব পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের মার্চে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৩৪ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
প্রতি মাসে হালনাগাদ রপ্তানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ইপিবি। কিন্তু করোনার কারণে সাধারণ ছুটি চলমান থাকায় শুধু গত মাসের রপ্তানির পরিসংখ্যান রোববার (১৯ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯০ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ডলারের। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি কমেছে ১৯২ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের বা ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে, রপ্তানি খাতের শীর্ষ তিন পণ্য হলো পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত এবং পাট ও পাটজাত পণ্য। এর মধ্যে শুধু পোশাক খাতের অবদান ৮৪ শতাংশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ক্রেতাদেশগুলো একের পর এক কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিত করতে শুরু করে। ফলে পোশাক খাতের রপ্তানি কমে যায়। এরই প্রভাব দেখা যাচ্ছে সার্বিক রপ্তানিতে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নয় মাস শেষে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪১০ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে। বিশেষ করে পোশাক খাতে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। অনেক দেশ ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল করেছে। জাতীয় অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে।