অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চালুকৃত তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাচাই করতে মাঠে নেমেছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ছয়টি পরিদর্শক দল।
এরই মধ্যে গত চারদিনে পরিদর্শক টিম ১৪৭টি কারখানা পরিদর্শন করে ১৪৪টি কারখানার স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে। বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর একাধিক অডিট টিম আকস্মিকভাবে কারখানা পরিদর্শন করছে। বিজিএমইএর পরিচালকদের নেতৃত্বে গঠিত ছয়টি অডিট টিম পরিদর্শনের প্রতিবেদনগুলো প্রতিদিন মূল্যায়ন করছে। এ পর্যন্ত গত চার দিনে ১৪৭টি কারখানা পরিদর্শন করে ১৪৪ টি কারখানার পরিস্থিতি সন্তোষজনক পেয়েছে টিম। বাকি তিনটি কারখানার সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন বলে মতামত দিয়ে সংশোধনমূলক পরিকল্পনা নিয়ে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দিয়েছে টিম। তা না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পরিদর্শক টিম।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হাজারের বেশি কারখানায় সীমিত জনবল দিয়ে কাজ শুরু করে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই শিফটে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের পণ্য পৌঁছানোর চাপ আছে এরূপ কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করেন। জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করতে হবে। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ২৬ এপ্রিল থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নীটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট বিকেএমইএর পক্ষ থেকে খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি যেমন ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিং মিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যান দিয়ে তাপমাত্রা চেক করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্ম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সকল মালিকদের।