আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজেকে ‘আইন-শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুলিশি নিপীড়নে আফ্রো-আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সপ্তম দিনে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ঐতিহাসিক সেন্ট জন’স এপিসকোপাল চার্চে একটি ফটোসেশন করতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ থেকে কাছের ওই চার্চে তার যাওয়ার পথ তৈরি করতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়লো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আগে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ আচরণ করতে বলেছেন তিনি, ‘এই দাঙ্গা হাঙ্গামায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে আমাদের দরিদ্র সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ নাগরিকরা। তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি তাদের নিরাপদে রাখতে লড়াই করে যাবো। আমি আপনাদের সুরক্ষিত রাখবো। আমি আপনাদের আইন-শৃঙ্খলার প্রেসিডেন্ট এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের মিত্র।’
বিক্ষোভকারীদের দমনে রাজ্যের মেয়র ও গভর্নরদের দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বললেন ট্রাম্প। নয়তো নিজের মতো করে দ্রুত সংকটের সমাধান করবেন। বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ‘বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা দিতে যদি অপারগ হয় গভর্নর ও মেয়ররা, তাহলে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী নামাবো এবং তাদের জন্য দ্রুত সমস্যার সমাধান করবো।’
রোজ গার্ডেনে ট্রাম্পের বক্তব্যের সময়ই আকাশে হেলিকপ্টার উড়ার শব্দ শোনা যায় এবং বিক্ষোভকারীদের শ্লোগানও ছিল স্পষ্ট। প্রেস ব্রিফিং শেষে হোয়াইট হাউজের আশপাশে বিক্ষোভকারীদের সরাতে রাস্তায় নামে অশ্বারোহী পুলিশ। কিছুক্ষণ পরই রোজ গার্ডেন থেকে লাফায়েত্তে পার্কের ভেতর দিয়ে সেন্ট জন’স চার্চে প্রবেশ করেন ট্রাম্প এবং বাইবেল হাতে ছবি তোলেন, যা বিতর্কের ঢেউ তোলে।