শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯
  • ৭১৭ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সমক্ষ হব।’
বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৬তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৬তম বার্ষিকী এবং জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ প্রবর্তিত ‘বঙ্গবন্ধু শান্তিপদক’ প্রদান উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তিনি (বঙ্গবন্ধু) আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। জাতির জনকের অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা, প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তার নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণেও তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তিপদক কমিটি জাতির জনকের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তিপদকে ভূষিত করে। এটি ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ এবং ‘সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই সরকার পরিচালনায় এসেছি, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেছি। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল আদর্শকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। আইনের শাসনের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সাহায্য করেছে। আমরা ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন, জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু সংসদ জাতির জনকের ‘জুলিও ক্যুরি’ শান্তিপদক অর্জনের জাতীয় ইতিহাসকে সংরক্ষণের পাশাপাশি গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু সংসদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com