শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

পশুর হাটকে টার্গেট করে সক্রিয় হচ্ছে মলম পার্টি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
  • ২৩৯ বার পঠিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টির সদস্যরা। যাত্রীদের নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিতো তারা। এমন অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার দুপুর পৌনে একটার দিকে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।

গত রোববার ভোর ছয়টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সড়কে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাসুদ, মামুন হোসেন ওরফে সাত্তার, সুমন ওরফে মুসা এবং সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার (যার নম্বর- ঢাকা মেট্রো খ-১৩-১২৬৮), একটি চাপাতি, ছুরি, রশি, গামছা, নেশা জাতীয় ঘুমের ওষুধ এবং বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়। কোরবানির ঈদে গরুর হাটে তাদের টার্গেট ছিল।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে দস্যুতা সংঘটনকারী একটি সংঘবদ্ধ দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশপাশের এলাকায় অটোরিকশার যাত্রী, চালক এবং পথচারীদের গতিরোধ করত। পরে এসব যানে থাকা মানুষদের মলম লাগিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্জনস্থানে ফেলে গাড়িসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যেত।

কামরুজ্জামান আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা এসব কাজ করতে গিয়ে সময়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ছুরি, চাপাতি, রশি, মরিচের গুঁড়া এবং বিষাক্ত ও নেশাজাতীয় ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। অপরাধ সংঘটনের সময় তারা চার থেকে পাঁচজন সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। অনেকক্ষেত্রে তাদের জনবলের সংখ্যা অপরাধের ধরন অনুযায়ী ওঠানামা করে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রীবেশে সিএনজিতে ওঠে যাত্রী বা চালকের চোখে মলম লাগিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর পর তাদের সিএনজি অটোরিকশাসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এই চক্রের সদস্যরা যাত্রীবেশে সিএনজিতে ওঠে। পরে যাত্রীদের খাবারের প্রস্তাব দেয়। তাদের অচেতন করে কোন এক পর্যায়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। লুট করে নেয়া এই সিএনজি বা অটোরিকশা তাদের চক্রের সদস্যদের কাছেই বিক্রি করে। তারা বাসস্ট্যান্ডে ও রেলস্টেশনে কাজ করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতরা ভোর চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে তাদের এসব কাজ করে থাকেন। গ্রেপ্তারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার এবং অর্গানাইজ ক্রাইমের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com