নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ২২ শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে তার জীবনাবসান ঘটে।
বাঙালির সংস্কৃতি সত্তার বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষাকে ভালোবাসতেন। এই বর্ষা নিয়ে তার রয়েছে অসংখ্য কবিতা, গান, ছোটগল্প, প্রবন্ধ। সেই বর্ষাতেই ধরাধাম থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।
১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্গী, চিত্রশিল্গী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এমন কোনো দিক নেই, যা নিয়ে তিনি লেখালেখি করেননি। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি চিত্রকর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বাঙালি জাতির দিকনির্দেশক এক আলোকবর্তিকা। তাকে বাদ দিয়ে বাঙালির চিন্তার ভূগোল, ভাবের প্রকাশ, রস আস্বাদন— কিছুই সম্ভব না। বাঙালি সত্তায় রবীন্দ্রনাথ সদা জাগ্রত। বাঙালি জীবনে যত ভাব-বৈচিত্র্যের সমারোহ, তার পুরোটাই তিনি ধারণ করেছেন তার গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান, স্মৃতিকথা আর দর্শনে।
এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে প্রয়াণ দিবসে কোনো অনুষ্ঠান থাকছে না। তবে টেলিভিশন, বেতার, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো তার জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে, লেখা প্রকাশ করছে।